
একজন নারীর “ব্যক্তিত্ব” কেমন হওয়া উচিত? (ইসলামিক ও বাস্তব দৃষ্টিকোণ)

এই সমাজে এখনো এমন ধারণা আছে—
নারী মানেই নরম, চুপচাপ, সহ্যশীল, এবং “হ্যাঁ” বলার জন্য তৈরি এক চরিত্র!
আর যদি কোনো নারী নিজের সীমা তৈরি করে, প্রতিবাদ করে বা দৃঢ়তা দেখায়—
তখনই শুরু হয় বিচার:
“বেশি কথা বলে”, “আধুনিক হয়েছে”, “ধর্ম ভুলে গেছে” ইত্যাদি।
আসলে সমাজ যা বোঝে, ইসলাম তা নয়।
ইসলাম নারীকে কখনো নিঃশব্দে মুখ বুজে সহ্য করা অবলা করে তোলেনি।
🕋 উম্মে সালামা (রা.), আয়েশা (রা.), ফাতিমা (রা.)—তারা প্রত্যেকেই ছিলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, জ্ঞানী, সাহসী এবং চিন্তাশীল নারী।
তারা কখনো নিজেকে ছোট করেননি,
তারা সত্য বলতেন, প্রশ্ন করতেন, সিদ্ধান্ত নিতেন।
ব্যক্তিত্ববান নারী মানে—
🔹 যে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, গর্ব করে না—বরং নিজেকে সম্মান করে।
🔹 যে নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সম্পর্ক ধরে রাখে না।
🔹 যে বিনয়ী, কিন্তু দুর্বল নয়।
🔹 যে জানে কখন কথা বলতে হয়, আর কখন নীরব থাকাই শক্তি।
👉 ইসলাম চায় নারী হোক সম্মানিত, চিন্তাশীল এবং চরিত্রবান।
চেহারার সৌন্দর্যের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে তার আখলাক (আচরণ)।
পর্দা মানে লুকিয়ে থাকা নয়, বরং নিজেকে হেফাজত করা।
নম্রতা মানে মুখ বুজে অন্যায় সহ্য করা নয়, বরং বুদ্ধিমত্তায় পরিচালিত হওয়া।
আর সত্যিকারের ইমানদার নারী সে—
যে নিজের মর্যাদা জানে এবং অন্যের দৃষ্টি দিয়ে নিজেকে মাপে না।
📚 এই লেখাটা যদি আপনার চিন্তায় কিছু না কিছু আলো জ্বালিয়ে থাকে—
তাহলে নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না।
আর এমন বাস্তবতা নির্ভর বিশ্লেষণ পেতে ফলো করে রাখুন 😇
✍️ — Att Mahfuj